Select language to read news in your own language


Like SatSakal Facebook Page to stay updated.

চন্দ্র অভিযানের পর


রথীন কুমার চন্দ

এই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে, চলতে চলতে ঠিক পৌছে যাব," চাঁদে পৌঁছানোর পিছনে সাহিত্যে গল্পকথার কাহিনী আজ বাস্তবে প্রতিফলিত হয়েছে। চাঁদ কেন আসে না আমার ঘরে। চাঁদ এবার হাতের মুঠিতে, শিশুদের আর দূরে বহু দূরে চাঁদ মামাকে হাত নেড়ে বলতে হবে না। চাঁদ বোধহয় হাতের নাগলেই চলে এল।ভারতের চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন আজ সার্থক হয়েছে চদ্রায়ন-৩ এর অভিযানে। বিগত দুটি অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর, সাফল্যের শেষ হাসি হাসলেন ইসরোর বিজ্ঞানী দল। চাঁদের বিপদ সঙ্কুল দক্ষিণ দুয়ারে পদার্পণ করার প্রথম কৃতিত্ব ভারতের ঝুলিতে, ললাটে আটকাল বিধি, আর বাম দৃষ্টি নিক্ষেপে বিশ্বের অন্য দেশগুলির কপালে সেই কৃতিত্ব জুটল না। চদ্রায়ন-৩ চাঁদের দেশে পাড়ি দেওয়ার নেতৃত্ব যার কাধে বর্তেছিল তিনি শ্রীধর পানিকর সোমনাথ। তার নেতৃত্বে ১০০০ জন বিজ্ঞানী চন্দ্রজানের অঙ্গসজ্জায় প্রাণপাত করেছেন। ৭৫ জন বিজ্ঞানী এখনো চন্দ্রায়নকে নজরবন্দী রেখেছেন ও ৯০ জন বিজ্ঞানী পুরো কাজের সাথে জড়িয়ে আছে। এখন চাঁদে অবতরণ করা চন্দ্রায়নকে দিয়ে ভাগ্য অন্বেষণে নেমেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা, সেখানকার তাপমাত্রা পর্যালোচনা থেকে নানা ধরনের গবেষণায় সাহায্য করবে ১৪ দিনের সময়কাল পর্যন্ত। তাপমাত্রার রকমফের ধরা পরেছে, তারতম্য কেন চুলচেরা বিশ্লেষন চলবে। উপরের পৃষ্ঠে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তখন ১০ মিমি নীচে তাপমাত্রা -১০ ডিগ্রি। দশটি সেন্সার এই চন্দ্রজানের সাথে আছে যারা প্রতিনিয়ত চাঁদের তাপমাত্রার হের ফের মাপবে। 
লক্ষ্য মাত্রা অনেক, কিন্তু সাফল্যে পৌছানোর রাস্তা বড় কঠিন। এই সাফল্যের রাস্তায় হাটতে ও দেশকে মহাকাশ বিজ্ঞানে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রাণ দিতে হয়েছে বিক্রম সারাভাই ও হোমি জে ভাবা'র মত বিজ্ঞানীদের। 
যাত্রাপথ প্রথম থেকে খুব মসৃণ ছিল না। কোন এক ধর্মীয় স্থানে মহাকাশ গবেষণার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তারপর গত পাচ দশকের পথ চলার পর্ব পেরিয়ে আমরা আজ ইতিহাসের পাতায় সফলতম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি। এখানে নারী শক্তির অবদান কম নয়। পঞ্চাশ জন মহিলা এই চন্দ্রায়নকে সাফল্যের গতি দিতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন। মহিলারা ভারতীয় বিজ্ঞানের স্তম্ভ হতে পারেন তা ঠারে ঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন তাদের মেধার পরিচয়ে। 
নাসা, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর সাথে যৌথ ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী ২০২৪ এর পর যৌথ কার্যক্রম ফলাফল চিত্রায়িত হবে এবং সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য। 

ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon