বটু কৃষ্ণ হালদার
শুরুতেই শহীদ দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসটা একটু পরিষ্কার করে দিলাম,
৯৩ সালে গুলি চালিয়ে ছিল সিপিআইএম,গুলি খেয়েছিল কংগ্রেসের কর্মীরা আর তাদের উদ্দেশ্যে স্মৃতি রক্ষার্থে তৃণমূল কংগ্রেস পাড়ার মোড়ে মোড়ে থেকে শুরু করে ধর্ম তলায় মহা উৎসব করছে, মদ,মাংস বিরিয়ানি খেয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা চলছে কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই সব অসহায় শহীদ পরিবারের খোঁজখবর কেউ নেয় কি? আবার সেই সময় যে সমস্ত পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে নেতা মন্ত্রী গুলি করে কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মীদের হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন, আইনত সাজা পাওয়ার পরিবর্তে উপহার স্বরূপ তৃণমূল সরকারের আমলে উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও মন্ত্রিত্ব পদ পেয়েছেন। এর নাম কি শহীদ দিবস?
২০শে জুলাই রাত পার হলেই বাংলায় শুরু হবে এক বিরাট উৎসব,তার নাম শহীদ দিবস।শহীদ কথার মানে টা উৎসব বলার কারণ হল আমরা এখনো শহীদ কথার মানে টা বুঝতে পারলাম না।এখানে কাল যাঁদের স্মরণে শহীদ দিবস পালন হবে তাদের কি হিসাবে শহীদ আখ্যায়িত করা হয়েছে তার কারণ কিন্তু আমাদের অনেকের কাছে আজও অজানা।তবে আমাদের দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতা অপব্যবহারের ইতিহাস টা একেবারে কারো অজানা নয়।তবে এক্ষেত্রে শহীদ কথার অর্থ উপলব্ধি করতে গেলে নিশ্চই দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসটা একটু মন দিয়ে পড়া দরকার।
ছোট বেলায় দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস পড়তে গিয়ে মনটা বড় চঞ্চল,উদাস,বা কখন ও চোখে জল চলে আসতো। ছোটবেলায় না বুঝলেও এখন বেশ বুঝতে পারছি যে ভারত বর্ষ পরাধীনতার অন্যতম মূল কারণ এক শ্রেণীর মানুষ নিজেদের স্বার্থে ব্রিটিশদের কাছে নিজেদের বিক্রয় করেছিল। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের স্বার্থ পূরণ করতে গিয়ে দেশের মানুষ গোলামে পরিণত হয়।দেশের মানুষের করুন দুর্দশা দেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি সেসময়ের দেশপ্রেমিকেরা। ভারতবাসীকে ব্রিটিশদের বন্ধন থেকে মুক্ত করতে দেশ প্রেমিক ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজেদের জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ বিলাসিতা এমনকি জীবনের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীনতা দে ওয়ার লক্ষ্যে অস্থির হয়ে উঠেছিল। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে গিয়ে শত শত বিদেশ বুক বুলেটের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিল। ভারতবাসীর তাজা তাজা রক্তে লাল হয়ে উঠেছিল মাটি। আবার কতশত বীর রা ফাসিঁকাঠে ঝুলে ছিল ছিল আমাদের দেশের বহু রাজনৈতিক নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে।আবার কেউ কেউ ভারতবর্ষে থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, বিদেশের মাটি থেকে তারা ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে গেছেন। ব্রিটিশদের ভারতবর্ষের বুকে থেকে তাড়িয়ে দিতে অকাতরে ভারতবর্ষের জন্য নিজেদের জীবন বলিদান দিয়ে গেছেন তাদেরকেই আমরা শহীদ হিসাবে জানি ও মানি। আমাদের জীবন্ত দলিল ইতিহাস ও সেই কথা বলে।এই সমস্ত বীরপুরুষ দের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করি। যা আমরা শহীদ দিবস হিসেবে জেনে এসেছি।বর্তমানে যারা রোদ, ঝড়,জল, বৃষ্টি,তুষার,মরুকে ও নিজেদের জীবনকে উপেক্ষা করে দেশের সীমান্ত পাহারা দিয়ে চলেছে।যাদের জন্যই দেশের জনগণ দেশের মধ্যে সুখে-শান্তিতে নিদ্রা যায়। সেই সেনাবাহিনীদের মৃত্যু হলে শহীদ দিবস হিসাবে পালন করি।তাদের কে শহীদ হিসাবে আমরা সবাই জানি।কিন্তু বর্তমানে শহীদ অর্থ বা সমীকরণ বদলে গেছে।যেমনভাবে বদলে গেছে এই বাংলায় বাংলা ভাষার ব্যবহার এর প্রয়োগ। পাল্টে গেছে বাংলা ব্যাকরণ। পশ্চিমবাংলায় বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস হচ্ছে দিনে দিনে, আর মিশ্র সংস্কৃতি গড়ে উঠছে বাংলার বুকে। ঠিক তেমনি আমরা এই বাংলায়শহীদ স্মরণে স্মরণ করি দাঙ্গা করা কিছু মানুষকে।এই বাংলায় জমির বিবাদ কে কেন্দ্র করে ভাই ভাইয়ের হাতে খুন হলে তার কপালেও জুটে যায় শহীদ তকমা।আচ্ছা, বলতে পারেন যে মানুষগুলোকে স্মরণ করি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলো থেকে তারা কি মানুষ ছিল? না মানুষের মতো দেখতে-কথায় ও চলনে মনুষ্য প্রজাতির মতো ছিল কিন্তু স্বভাবে অমানুষ বা দাঙ্গাবাজ নয় তো! না না সে প্রশ্ন খুঁজতে গেলে আমাকেই হয়ত কাঠগড়ায় তুলে দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দিয়ে দেবে।তারা শহীদ হয়। আর একটু শরীরের বয়স বাড়লে শুনেছিলাম, যারা সন্যাসী হয়, বা সন্যাস বৃত্তি করে জীবন অতিবাহিত করে তার মারা গেলে; তাদের মাটিতে পুঁতে দেয়, সেটাকেও নাকি শহীদ দেওয়া বলে। যেমন সীতানাথের শহীদ ইত্যাদি।
এবার দেখে নেব এই পশ্চিম বাংলায় ২১ জুলাই শহীদ দিবসের সারমর্ম।শৌণকের লেখা থেকে উদ্ধৃতি তুলে বলতে চেষ্টা করি,২১ শে জুলাই ১৯৯৩,ঠিক কী হয়েছিলো?
২১ জুলাই দিনটা যেহেতু বিতর্কিত, তাই এই দিন নিয়ে যত কম কথা বলা যায় তত ভালো। তবু কিছু কথা না বললে দিনটা সম্পর্কে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়। তাই সত্য অপ্রিয় হলেও স্পষ্টাস্পষ্টি বলাই ভালো।প্রথমেই বলে রাখা ভালো দিনটা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হলেও ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তৃণমূল নামক কোনো দল পশ্চিমবঙ্গের বুকে ছিলোই না।আন্দোলন হয়েছিলো যুব কংগ্রেসের পতাকার তলায়। পুলিশের গুলি অথবা সিরোসিস অফ লিভারে যে বা যারা মারা গেছিলেন তাঁরা কংগ্রেস সমর্থক ছিলেন। কাজেই তৃণমূলের তরফে যে অনুষ্ঠান পালন করা হয় তা মূলত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কাছ থেকে ‘দখল’ করা একটি বিশেষ দিন। হয়ত বা পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে প্রতিদিন যে দখলের রাজনীতি প্রত্যক্ষ করছে, এর বীজ পোঁতা হয়েছিলো তখন থেকেই, যখন থেকে তৃণমূলের তরফে ২১ জুলাই পালন শুরু হয়েছিলো।
২১ জুলাই কেন, কীভাবে, কী হয়েছিলো তা নিয়ে দাবি, পাল্টা দাবি আছে। আছে মতদ্বৈধতাও। অবশ্য সেটা থাকাই স্বাভাবিক। কারণ ১৯৯৩ সালের এই দিনকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটেছিলো তার দুই প্রান্তে আছে দুই ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষজন। ‘আমরা’ ‘ওরা’-র দ্বন্দ্বে একদলের দাবি করা ‘শহিদ’ অন্যদলের চোখে ‘লুম্পেন’ হতেই পারে।রাজনৈতিক একচোখামী ছেড়ে একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টি থেকে ২১ জুলাইকে বিশ্লেষণ করতে গেলে অনেকগুলো প্রশ্ন সামনে এসে যায়। যে প্রশ্ন অবশ্যই যুক্তিগ্রাহ্য এবং একটু খুঁজলে হয়তো এর উত্তরগুলোও পাওয়া যেতে পারে। কী দাবিতে ২১ জুলাই?
বছরটা ১৯৯৩, তখনও জন্ম হয়নি তৃণমূলের। রাজ্য শাসন করছে জ্যোতি বসুর সরকার। সেসময় রাজ্য যুব কংগ্রেসের নেত্রী তথা সভাপতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেময় সিপিএমের বিরুদ্ধে ছাপ্পা-রিগিং-র অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা আনতে সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্রের দাবিতে ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্য যুব কংগ্রেসের নেত্রী তথা সভাপতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। প্রথমে ১৪ জুলাই কর্মসূচির দিন ঠিক হলেও পরে প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসানের মৃত্যুতে তা পিছিয়ে ২১ জুলাই কর্মসূচি রাখা হয়। মহাকরণ অভিযান আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিলো? বকলমে যা ছিলো ‘মহাকরণ দখল অভিযান’। ‘নির্বাচনে সচিত্র ভোটার কার্ডের আবশ্যিকিকরণ’-এর দাবিতে ডাকা ওই অভিযানের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কর্মকাণ্ডের কোনো যোগ ছিল না। কারণ পুরো বিষয়টাই ছিলো নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের এই আন্দোলনে সমর্থন ছিলো না। বিরোধিতা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিম্মা রাও। আসলে ৯২-র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে সোমেন মিত্র-র কাছে একতরফা হারের পর দলে কোণঠাসা হয়ে পড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য এছাড়া বিকল্প আর কোনও পথ খোলা ছিলো না। সেদিক থেকে বলতে গেলে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা ছাড়া এই আন্দোলনের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া একটু কঠিনই। তবু মহাকরণ অভিযানে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বক্তৃতা হয়েছিলো। ঝামেলা বেঁধেছিল। গুলি চলেছিলো। তারপর থেকে ১৯৯৩ সালের এই ঘটনার পর প্রতিবছর ২১ জুলাই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যদিও পরবর্তীতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে ২১ জুলাই দিনটিকে আজও শহিদ দিবসের-র মর্যাদা দেওয়া হয়।
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিলো ২১ জুলাই, ১৯৯৩ সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যেতে পারে ওই সময়ের কিছু সংবাদপত্র থেকে। যে রিপোর্টকে পক্ষপাত দুষ্টতায় দোষী করা যায়না কোনওভাবেই।
২১ জুলাই প্রসঙ্গে ২৪ জুলাই, ১৯৯৩ দি হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো –“…গণ্ডগোল তৈরিতে সদাব্যগ্র সমাজবিরোধী শক্তি ও গুন্ডারা অবাধ বিচরণের দিন পেয়ে গিয়েছিলো এবং তাঁদের ওপর কংগ্রেস নেতৃত্বের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিলো না।…মহাকরণ ছাড়াও বিক্ষোভকারীরা কলকাতা পুরসভা দপ্তরে হামলা চালায়। একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগও রক্ষা পায়নি।… বিবেক বর্জিত ব্যক্তিদের ছড়ানো হিংসা মোকাবিলা করতে গেলে সরকারের কাছে খুব বেশী বিকল্প খোলা থাকেনা।আজ থেকে ২৯ বছর আগে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এত চল ছিলোনা। ফলত প্রিন্ট মিডিয়ার এই রিপোর্টগুলো থেকে সেদিন কী ঘটেছিলো সে সম্বন্ধে একটা ধারণা করে নেওয়া খুব একটা কষ্টকর নয়।
একদম শেষে দেখে নেওয়া যেতে পারে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব, বর্তমান তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ মণীশ গুপ্তর বয়ান। যে হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন – “সেদিন ৩টি বাস পোড়ানো হয়েছিল। ৩৫টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। সব মিলিয়ে জখম হয়েছিলেন ২১৫ জনেরও বেশি পুলিশ। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, ডি সি (সদর), ৭জন ডি সি, ১০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রয়েছে। ৩৪ জন পুলিশকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ হাসপাতালে। তাঁদের অনেকেরই পাইপগানের গুলি এবং বোমার স্প্লিন্টার লেগেছিল। তালতলা থানার সার্জেন্ট ডি কে ঘোষালের গুলি লেগেছিল। এক সাব ইনস্পেক্টর কালাচাঁদ সমাদ্দারের শরীরে আঘাত ছিল বোমার। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাব ইনস্পেক্টর এ কে গাঙ্গুলিকে এস এস কে এম হাসপাতালের সামনে মেরে মাথা ফাটিয়ে, হাত ভেঙে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। আক্রান্ত, রক্তাক্ত হয়েছিল পুলিশ। তাই গুলি চালিয়েছিল।” কিন্তু, কার নির্দেশে গুলি চালাল পুলিশ, এপ্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। উল্লেখ্য, তৎকালীন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরবর্তীকালে এই ঘটনায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ক্লিনচিট দেয় সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রী হবার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওড়িশা উচ্চ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন একটি কমিশন গঠন করেন। কিন্তু তার রিপোর্ট আজও বেরোয়নি।
সাধারন জনগন হিসেবে আপনি ভাবতে থাকুন, সাধারণ জনগণের ভাবনা অনেক কিছু গুরুত্ব রাখে।কারণ এভাবেই পশ্চিমবাংলার সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে যারা দিনের পর দিন ধ্বংস করে চলেছে, তারাই বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষার জন্য আন্দোলন করে চলেছে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয় তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবাংলার সাধারণ জনগণের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ভোট-পরবর্তী হিংসা তার অন্যতম উদাহরণ। বাঙালি জাতির স্বার্থ রক্ষা করার দায়িত্ব বললে ও সেই বাঙালি দের জীবন আজ বিপন্ন। এ কথা অস্বীকার করতে পারবেন কেউ? তবে মিথ্যা, ভাঁওতাবাজি বা হিংসাত্মক কার্যকলাপ করে বেশিদিন রাজত্ব করা যায় না। জনগণ আজ নয়তো কাল সত্য ঘটনা উদঘাটন করবে। তার জবাব সঠিক সময় মত দেবেন। বর্তমানে ঠিক যেমন সিপিএমের অবস্থা হয়েছে। তাদের অত্যাচারের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। সেই ঘাত প্রতিঘাতের প্রতিশোধ নিতেই মানুষের মন থেকে চিরতরে লাল ঝাণ্ডার অস্তিত্ব মুছে ফেলেছে। এমনিভাবে উত্থান-পতনের খেলায় একদিন হয়তো এমন একটা দিন আসবে তৃণমূল বলে কোন দল ছিল পশ্চিম বাংলায় সেটা কারো মনে থাকবে না।
সেই সঙ্গে এই দিবস পালনের সঙ্গে সমগ্র কলকাতা নোংরা আবর্জনার নগরীতে পরিণত হবে তা বলা বাহুল্য।তা থেকে দুর্গন্ধ হবে, মশা মাছি নানান পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যাবে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবাংলায় ম্যালেরিয়ার উপদ্রব বেড়েছে সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর পরিসংখ্যা। যে ক্ষত কিছুতেই শুকাচ্ছে না একেবারে।সেই সঙ্গে শহরবাসীকে বেশ কিছু রোগব্যাধি উপহার দিতে চলেছে। পরিশেষে একটি প্রশ্ন সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে করে গেলাম তা হল শহীদ দিবস পালন হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মৃত ব্যক্তিদের স্মরণ করে তবে ভোট পরবর্তী হিংসা ও এই পঞ্চায়েত ভোটে যারা মারা গেলেন তারা কি হিসেবে গণ্য হবেন?