Select language to read news in your own language


Like SatSakal Facebook Page to stay updated.

হিন্দু বিদ্বেষী রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত জাতীয় কংগ্রেস

বটুকৃষ্ণ হালদার

বিশ্ব জুড়ে মোদী বন্দনা শুরু হয়েছে।হু হু করে বেড়ে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা।আর হবে নাই বা কেনো,অতিমারি করোনা মোকাবিলা থেকে শুরু করে চন্দ্র অভিযান এ অভূতপূর্ব সাফল্য লাভের পর জি_২০ সম্মেলনে ভারতের সভাপতিত্ব প্রমাণ দিচ্ছে এই মুহূর্তে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর দলে ভারতের নাম ঢুকে পড়েছে।আর তাতে বিরোধী শক্তি জাতীয় কংগ্রেস সম্পূর্ন ভাবেই সর্বত্র মুছে যাওয়া উপক্রম।কিন্তু মনে রাখা দরকার প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে একবার দপ করে জ্বলে ওঠে।কংগ্রেসের ঠিক সেই অবস্থা।তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তার জন্যে একবার শেষ কামড় দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছেন।কিন্তু তাদের দাঁতে যে শক্তি নেই। তাই মোদী বিরোধী যে দলগুলো জরাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তাদের এক ছাতার তলায় আহ্বান করেছে মোদীর বিরুদ্ধে। সেই দলের নাম দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট।এই জোটে যে সমস্ত দল গুলো যুক্ত হয়েছে তাদের পরিসংখ্যান একটু খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি।এই জোটের মধ্যে যুক্ত হয়েছে বাংলার দুটি রাজনৈতিক দল।একটি হোল বর্তমান রাজ্য সরকার অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস আর একটি হল সিপিআইএম। তবে তৃণমূলের কথা যত টা কম বলা হবে ততটা মঙ্গল।কারণ এই দলের প্রধান নীতি হোল চুরি,দুর্নীতি, ধাপ্পাবাজি,জালিয়াতি,কাটমানি,সন্ত্রাস আর জনগনকে ঠকানো। ইতিমধ্যে এই রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা-নেত্রীরা দুর্নীতি দায়ে জেল খাটছে। বাকি রইল সিপিআইএম। ৩৪ বছর বাংলায় শাসন করার পরে টিমটিম আলোর মতো জ্বলছে। তবে সিপিএমের অবস্থা হাল ভাঙা নাবিক এর মত দিশা খুঁজে বেড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই ইন্ডিয়া জোটের প্রধান রাজনৈতিক দল হলো জাতীয় কংগ্রেস সেই দলের প্রধান নেতা নেত্রীদের দুর্নীতির কথা বোধহয় ভারতবাসীর কাছে অজানা নয়। শুধু দুর্নীতি নয় সেই সঙ্গে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের দেশে জাতীয় কংগ্রেস এক চোখে বিচার করে এসেছে। বিশেষ শ্রেণি দের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে আর তাতেই হিন্দু ধর্মের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে গেছে। কিভাবে তা একটু দেখে নেওয়া যাক।

এই কংগ্রেসের আমলেই চোখের সামনেই দুটি মুসলিম দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। তা হল পাকিস্তান আর বাংলাদেশ।

ভারত বিরোধী বিল ৩৭০ কার্যকর, সংখ্যা লঘু বিল এসেছিল, কংগ্রেসের আমলে। যাতে মুসলিমরা একচ্ছত্রভাবে ভারতের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে আর দেশের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত গাইতে বলা হলে বুকে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। সর্ব ধর্মের দেশে একাধিক স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়,দেশের সংবিধান থাকলেও শুধুমাত্র মুসলিমদের সুবিধার্থে

মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড,সংখ্যালঘু মন্ত্রক,সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছিল। যখন দেশভাগ হয়েছিল 'ধর্মীয়' ভিত্তিতে, তখন এই জাতীয় কংগ্রেসের প্রধান স্থপতিরা"গজওয়া-ই-হিন্দ" তৈরিতে সমর্থন জানিয়েছিল।ভারতবর্ষকে “নিঃশব্দে” ইসলামিক দেশ বানানোর চক্রান্তকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

এই জাতীয় কংগ্রেস জেনে বুঝেই "হিন্দুদের" জন্য মাত্র ১টি "সংরক্ষণ" দিয়েছে।যাতে - "হিন্দু সমাজ" সবসময় একে অপরের সাথে "লড়াই" করেএবং কখনই বুঝতে পারে না "গজওয়া-ই-হিন্দ" কি?

আরো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা যায় যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরার জি দেশাই তাঁর  বই :_"মাই লাইফ অ্যাকাউন্ট" এর পৃষ্ঠা নম্বর ৪৫৬ তে লিখেছেন যে :- জানি না কেন নেহেরু - "হিন্দুধর্ম" একটি "কুসংস্কারচ্ছন্ন ধর্ম" বলে মনে করতেন ?এমন কি তিনি"হিন্দুদের দ্বিতীয় নাগরিক" করার জন্য নেহেরু "হিন্দু কোড বিল" আনার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাঁর এই উদ্দেশ্য সফল হতে দেননি সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল। সর্দার প্যাটেল নেহরুকে সতর্ক করেছিলেন যে:-যদি আমার জীবদ্দশায় আপনি - "হিন্দু কোড বিল"নিয়ে চিন্তাও করেন, তাহলে আমি - "কংগ্রেস" থেকে পদত্যাগ করব।এবং - "এই বিলের বিরুদ্ধে" রাস্তায় নামব হিন্দুদের নিয়ে।

তারপর প্যাটেলের হুমকির কারণে - নেহরুজি "ভয় পান।এবং তিনি সর্দার প্যাটেল জির “মৃত্যুর পরে" - হিন্দু কোড বিল" পাশ করেন সংসদে।এই বিলের উপর আলোচনার সময় আচার্য জেবি কৃপালিনী

নেহরুকে "কমিউনিস্ট" এবং "মুসলিম সমর্থক" বলে সম্বোধন করেছিলেন।তিনি আরও বলেছিলেন:_

আপনি হিন্দুদের ঠকানোর জন্য "জেনেউ" পরেন...

অন্যথায় - "হিন্দুত্বের  কোন ব্যাপার আপনার মধ্যে "আছে?আপনি যদি - সত্যিই - "ধর্মনিরপেক্ষ" হতেন তবে "হিন্দু কোড বিল" এর পরিবর্তে সব ধর্মের জন্য "সাধারণ কোড"বিল আনতেন। এইভাবে তিনি হিন্দু সম্প্রদায় দের সঙ্গে দ্বিচারিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা করে গেছেন। বিবিসির বিখ্যাত সাংবাদিক মার্ক টুলি একটি বিবৃতি দিয়েছেন যে, "মোদি এই দেশের সেই বড় বটকে উপড়ে ফেলছেন, যেটি বছরের পর বছর ধরে বিষাক্ত পোকামাকড়ে আক্রান্ত! এর জন্য তাকে নিরন্তর লড়াই করতে হবে।

দেশে লুকিয়ে থাকা সব বিষাক্ত সাপের বিলে হাত ঢুকিয়েছেন মোদী, সেজন্যই এই সাপগুলো হিস হিস করছে, কংগ্রেস, বামপন্থী, জিহাদি, নকশাল, মিশনারি, ভারতবর্ষকে ধ্বংস করার জন্য সব ধরনের সাপকে কংগ্রেস লুকিয়ে রেখেছিল। এটা ভালো যে মোদি ক্ষমতায় এসে এই বিষাক্ত সাপগুলো সম্পর্কে দেশকে সচেতন ও সচেতন করে তুলেছেন এবং উন্মোচন করেছেন, নইলে এই বিষাক্ত সাপগুলো আগামী দিনে এই ভারতীয় ভূমি ও হিন্দুদের গিলে ফেলত। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কান্না আর হাহাকার ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। মোদীকে অনেক সংগ্রাম করতে হবে এবং মোদীও সংগ্রাম করবে, তবে এদেশের জনগণ বিশেষ করে হিন্দুদের মোদীর সাথে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে।

কারণ মোদি এই যুদ্ধকে নিজের জন্য নেননি, বরং এটা আমাদের দেশবাসীর সন্তানদের জন্য, আগামী প্রজন্মের জন্য এবং ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য পরিচালিত যুদ্ধ।

ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম সদস্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার হিজাব পরে নেন কিন্তু মন্দিরে গিয়ে টিকা নিতে আপত্তি করেন। সম্প্রতি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে হিন্দু ধর্মকে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার সঙ্গে তুলনা করে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে। ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য সদস্যদের ক্ষমতা থাকাকালীন হিন্দু ধর্মের প্রতি অবিচার ও অবমাননার পরিসংখ্যানটা জেনে নেওয়া খুবই জরুরী।এরপরেও যদি মনে করেন যে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় ক্ষমতায় ফিরে আসা দরকার। তাতে যদি আপনি হিন্দু ধর্মী এর জনগণ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিবার ও সন্তানদের  ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু সতর্ক ও সজাগ থাকবেন।

ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon